বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর রংপুর রেঞ্জের উপমহাপরিচালক মোহাম্মদ আবদুল আউয়াল বলেছেন, শৃঙ্খলায় দক্ষ মানব সম্পদ তৈরি, উদ্যোক্তা তৈরি ও আত্ম কর্মসংস্থান সৃষ্টির যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ কর্ম সংস্থান সৃষ্টির মহাদিগন্ত উন্মোচন করেছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী।
সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে রংপুর নগরী মাহিগ জেলা আনসার ও ভিডিপি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ১৪ দিন মেয়াদী ১৩৬ জন তরুণ শিক্ষিত উপজেলা/থানা আনসার মৌলিক প্রশিক্ষণ (৪র্থ ধাপ) কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
উপমহাপরিচালক আরও বলেন, আনসার মৌলিক প্রশিক্ষণ জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে জনগণের কল্যাণে সমাজের উন্নয়নে আনসার-ভিডিপি সদস্যদের কাজ করতে হবে। গ্রাম অঞ্চলে অসামাজিক কার্যকলাপ মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, বাল্যবিবাহ, যৌতুক, নারী নির্যাতন, দলগতভাবে প্রতিরোধে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধির দিকে ধাপে ধাপে এগিয়ে নিতে হবে। মেধাশ্রম ও দক্ষতা কাজে লাগিয়ে আনসার-ভিডিপি বাহিনীকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবেন। সু-শৃঙ্খল বাহিনীর গর্বিত সদস্য হিসেবে পেশাগত দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে একটি মর্যাদার ও সুদৃঢ় অবস্থানে এ বাহিনীকে দাঁড় করতে বর্তমান বাহিনীর মহাপরিচালক নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
দক্ষ মানব সম্পদ তৈরি, উদ্যোক্তা তৈরি ও আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির মহা দিগন্ত উন্মোচন করার লক্ষ্যে দেশব্যাপী কারিগরি, বৃত্তি মূলক ও আন্ত কর্মসংস্থান সৃষ্টি মূলক বহু প্রশিক্ষণ ও কার্যক্রম হাতে নেওয়ায় বাহিনীর মহাপরিচালক-কে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। আনসার মৌলিক প্রশিক্ষণ জ্ঞান কাজে লাগিয়ে ভাগ্য পরিবর্তন ও দেশের উন্নয়নে অবদান রাখার মিশন ও ভিশন নিয়ে প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য তার বক্তব্যে প্রশিক্ষণার্থীদের অনুপ্রাণিত করেন।
প্রশিক্ষণ কোর্স সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রংপুর জেলা কমান্ড্যান্ট রাশেদুল ইসলাম বিএএমএস, অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সদর উপজেলা প্রশিক্ষক মো. মনিরুজ্জামান।
উপস্থিত ছিলেন সার্কেল অ্যাডজুট্যান্ট মো. সাইদুল ইসলাম ও গংগাচড়া উপজেলা প্রশিক্ষক মো. রুহুল আমীন, মনিটরিং, মাঠকর্মী, গণসংযোগ সহকারী, ব্যাটালিয়ান আনসার প্রশিক্ষক ও প্রশিক্ষণার্থীবৃন্দ। প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্য থেকে বক্তব্য রাখেন মো. তামিম আহমেদ।
এই ১৪ দিন মেয়াদী মৌলিক প্রশিক্ষণটি আনসার সদস্যদের শৃঙ্খলাপরায়ণ, দেশপ্রেমিক এবং আত্মনির্ভরশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আয়োজকরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
প্রশিক্ষণ চলাকালে অংশগ্রহণকারীরা শটগানের ৬ রাউন্ড করে গুলি ছোড়ার অনুশীলন করেন। পাশাপাশি শারীরিক সক্ষমতা, কৌশলগত অনুশীলন, শৃঙ্খলামূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি করা হয়।
এছাড়া চারজন সেরা প্রশিক্ষণার্থীদের ক্রেস্ট ও সকল প্রশিক্ষণার্থীদের প্রশিক্ষণ সনদ বিতরণ করা হয়।
